বেসরকারি খাতের ব্র্যাক ব্যাংকের ভল্টের টাকায় গরমিল পাওয়া গেছে। ব্যাংকটির কক্সবাজারের চকরিয়া শাখার ভল্টের ৮২ লাখ ৪৪ হাজার টাকার হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক জানিয়েছে, ইতিমধ্যে জড়িত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি কিছু টাকা উদ্ধার করা গেছে।
গত ২২ ডিসেম্বর ব্যাংকের কক্সবাজার চকরিয়া শাখায় পরিদর্শন চালায় বাংলাদেশ ব্যাংক। পরিদর্শনকালে ব্যাংকের ১৯ ডিসেম্বর হিসাব শেষ হওয়ার পর নগদ অর্থের পরিমাণের সঙ্গে ভল্টে রাখা নগদ অর্থের পরিমাণের সঙ্গে ৮২ লাখ ৪৪ হাজার টাকার পার্থক্য পাওয়া যায়, যা গুরুতর অনিয়ম বলে উল্লেখ করে পরিদর্শন দল।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, অসামঞ্জস্যতা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে ১০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে অবহিত করতে বলা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেলিম আরএফ হোসেন আমার দেশকে বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে যে জড়িত ছিল তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। তার কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে।’
ব্যাংকের হেড অব কমিউনিকেশন ইকরাম কবির আমার দেশকে বলেন, ‘আমাদের একজন কর্মকর্তা জড়িত। তাকে আইনগতভাবে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। ঘটনা জানার পরই তার কাছ থেকে ৪৭ লাখ টাকা রিকভার করা হয়েছে। আরও রিকভারি করার প্রক্রিয়া চলছে। এই টাকার পুরোটাই ফেরত আসবে। কোনো টাকা মার যাবে না।’
উল্লেখ্য, ব্যাংকের ভল্টের টাকার হদিস না পাওয়ার ঘটনা এটাই নতুন না। এমন আগেও হয়েছে। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ দেখা যায় ব্যাংক কর্মকর্তারাই জড়িত থাকে। সম্প্রতি অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ২৮ লাখ ৩৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকের মৌলভীবাজার শাখার ক্যাশিয়ার ঝন্টু লাল দাশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সুত্র: দৈনিক আমার দেশ
পাঠকের মতামত